মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট- দীর্ঘদিনের প্রেম, আদালতে বিয়ের পরে গতকাল মঙ্গলবার দুই পরিবারের সম্মতি মেলে। কিন্তু বাসর রাত শেষে বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ফ্যানের সঙ্গে পাওয়া গেল নববধূর ঝুলন্ত লাশ। টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তন্নী জেলার বাসাইল পৌরসভার জরাশাহীবাগ এলাকার অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক হাশেম খানশুরের মেয়ে।
তন্নীর সঙ্গে বাসাইল উপজেলার পশ্চিমপাড়ার এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাদেক আহমেদ সাইমের দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের জেরে গতকাল মঙ্গলবার দুজনে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম রাত পোহাতে না পোহাতেই বাসর ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তন্নীর লাশ পাওয়া যায়।
তন্নীর দেবর শাকিল খান জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভাবির পরিবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেও মেয়ের প্রতি তারা হয়তো অসন্তুষ্ট ছিলেন। সকালে তাকে খুব মনমরা লাগছিল। সকালে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া করার পর অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তন্নীর বাবা হাশেম খান শুর বলেন, বিয়ের মাত্র একরাতের মাথায় মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক। এটা স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায় না। আত্মহত্যার প্ররোচণায় মেয়েকে প্ররোচিত করা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। ময়নাতদন্তের প্রতিবদেন পেলে মামলার বিষয়ে এগিয়ে যাবো।
বাসাইল থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাসাইল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।